ইমান নিয়ে উক্তি

৯৩+ ইমান নিয়ে উক্তি: পবিত্র কুরআন, হাদিস ও বিখ্যাত মনীষিদের

শয়তানের কুমন্ত্রণায় পরে দিশেহারা মুসলিমদের ইমানকে শক্তিশালী করার জন্য বিখ্যাত মনীষিদের করা ইমান নিয়ে উক্তিগুলি তালিকাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। আমরা আমাদের প্রিয়জনের সাথে এগুলো শেয়ার করে আমাদের ও তার ইমান মজবুত করতে চেষ্টা করতে পারি।

পবিত্র কুরআন হতে ইমান নিয়ে উক্তি

“আল্লাহ ব্যতীত আর কোনোই উপাস্য নেই।
অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন কেয়ামতের দিন,
এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা আর কার হবে!”
আল কুরআন, সূরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৮৭

“মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?
পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত
সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।”
সূরাঃ আল কিয়ামা, আয়াতঃ ৩-৪

“বলুন, তিনি পরম করুণাময়,
আমরা তাতে বিশ্বাস রাখি এবং তাঁরই উপর ভরসা করি।
সত্ত্বরই তোমরা জানতে পারবে,
কে প্রকাশ্য পথ-ভ্রষ্টতায় আছে।”
সূরা আল-মুলক, আয়াত: ২৯

কিয়ামাত দিবসে সকল হকদারের হক আদায় করা হবে।
এমনকি শিংবিহীন বকরীর পক্ষে
শিংবিশিষ্ট বকরীর গুতোর বদলা নেওয়া হবে।
তিরমিজি-২৪২০

“অতএব, কেউ অণু পরিমাণ ভালকাজ করলে তা সে দেখবে,
আর কেউ অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করলে তাও সে দেখবে।“
সূরা জিলজাল (৭-৮)

“আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে,
আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি
অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।”
আল বাকারাহ, আয়াতঃ ৮

সুন্দর জীবন নিয়ে সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন।

“যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল
সে পরকালেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রান্ত।”
আল-ইসরা, আয়াতঃ ৭২

“অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে,
কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।”
ইউসুফ, ১০৬

“আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন
বিষয়ই গোপন নেই।”
আল ইমরান, ৫

আর আল্লাহ যাকে চান তাকে রাজত্ব দেন।
আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
আল-বাকারাহ, আয়াত-২৪৭

”যে ব্যক্তি নিজের ভুল সংশোধন
করার কাজে নিয়োজিত,
সেই সফলকাম হয়”
-আশ-শামস/০৯

”যা খুশি তা করো,
তবে মনে রেখো,
ছোট বড় কোন কিছুই বাদ যাবে না,
সব লিখে রাখা হবে।
-কাহাফ/৪৯

”যমীনে বিচরণশীল এমন কোনও জীব নেই,
যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই।”
-হুদ/০৬

“তুমি কি জাননা যে,
আকাশ ও পৃথিবীর আধিপত্য আল্লাহরই এবং আল্লাহ ব্যতিত
তোমাদের কোন বন্ধুও নেই
এবং সাহায্যকারীও নেই।”
-বাকারাহ/১০৭

“..আর জমিনে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই
এবং তিনি সেসবের স্থায়ী অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত..”
-সূরা হুদ/৬

বিখ্যাত ব্যক্তিদের করা ইমান নিয়ে উক্তি

কেউ যদি মনে করে রাসুল (সা:) এর ব্যতিক্রম আমল করে
জান্নাত পাওয়া যাবে,
তাহলে সে রাসুল (সা:) এর ওপর ঈমান আনতে পারেনি।
-ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)

”আমি ইসলাম সম্পর্কে তেমন জানি না”
উক্ত বাক্যের আসল অর্থ-
আমি পরকালের স্থায়ী জীবনকে
তেমন গুরুত্ব দেই না (নাউজুবিল্লাহ)।
-মাসুদ রানা

একজন মুসলমানের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে,
তাওহীদ কি তা বুঝা ও সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।

আমরা সালাতই আদায় করিনা
অথচ দাবী আমরা ঈমানদার।

ঈমান কি?
ঈমান হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আমলের নাম।
অর্থাৎ অন্তর ও জবানের স্বীকারোক্তি এবং
অন্তর, জবান ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মকে ঈমান বলা হয়।

নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষেত্রে
সবচেয়ে মারাত্মক ত্রুটি হচ্ছে
উক্ত নেক কাজ করতে গিয়ে
আল্লাহ ছাড়াও অন্যকে খুশী করার নিয়ত।

রাসুল সাঃ কে জীবনাদর্শ হিসেবে এবং
ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে
আমি অত্যন্ত গর্বিত

যদি আকাশে পরিচিত হতে পারো,
তবে জমিনে অপরিচিত হয়ে থাকা
কোন সমস্যাই না।

বালির ওপর হাটলে কোন শব্দ হয়না,
কিন্তু পিছে পদচিহ্ন থেকে যায়।
জীবনকে সেভাবেই পরিচালনা করতে হবে,
যেন আমি ছিলামই না তবে,
রেখে যাব কর্ম, আমল।
-আরিফ আজাদ

এত এত গুনাহ করার পরও
আমার রব আমাকে অসংখ্য নেয়ামতে
পরিপূর্ণ রেখেছেন।

আপনি যেটাকে নিজের যোগ্যতা ভাবেন,
সেটা আসলে আল্লাহর দয়া।
তিনি দয়া করেন বলেই আপনি কাজ ভালো পারেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যার কোন অভিভাবক নেই তার অভিভাবক আল্লাহ ও রাসুল।
-মুসনাদে আহমাদ/৩২৩

“নিশ্চয়ই আল্লাহ
ন্যয় বিচারকারীদের
ভালোবাসে।”
-আল হুজুরাত/৯

ইমান নিয়ে স্ট্যাটাস

কুরআন থেকে যারা দূরে সরে যায়,
তাদের অস্থিরতা বেড়ে যায়।
তাদের জীবনটা অগোছালো হয়ে যায়,
এলোমেলো হয়ে যায়।

যে ব্যক্তি আল্লার দেয়া রিজককে যথেষ্ট
মনে করে, সে জীবনে কখনো
অভাব বোধ করবে না।

কখনোই নিজের পাপের পক্ষে যুক্তি খুজবেন না,
তা নাহলে অজান্তেই আল্লাহর রহমত
থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন
করে ফেলবেন।

তওবা করতে লজ্জিত হবেন না।
কারণ আপনার গুনাহের পরিমানের চাইতে
আল্লাহর ক্ষমার পরিমান অনেক বেশী।

নিজের গুনাহের ওজন যেখানে অনেক বেশী,
সেখানে অন্যের গুনাহ নিয়ে
মন্তব্য করাও গুনাহের কাজ।

প্রত্যেকটা অন্যায়ের শাস্তি অবধারিত,
হয় ইহকালে, নয়তো পরকালে।

একজন মানুষের আসল রূপ প্রকাশ পায়,
যখন সে একজন দূর্বল মানুষের সাথে
কেমন ব্যবহার করে সেটার উপর।

হাদিস গ্রন্থ হতে ইমান নিয়ে উক্তি

কম কথা বলো,
নিজের ঘরে অবস্থান করো,
আর নিজের গুনাহর জন্য কাঁদো;
এটাই নাজাতের পথ।
-তিরমিজি/২৪০৬

হারাম থেকে হালালের পথে আসতে
আপনি যা হারাবেন, জানবেন তা কখনই
আপনার জন্য কল্যাণকর ছিল না।

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
কেউ হারানো কোনও প্রাণী ফিরে পাওয়ার পর
যে পরিমাণ আনন্দিত হয়,
তোমাদের তওবার কারণে আল্লাহ তাআলা
এর চেয়েও বেশী খুশি হন।
-মুসলিম/৬৮৪৬

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুল সাঃ বলেছেন,
“চারটি গূণ তোমার মধ্যে থাকলে পুরো দুনিয়া
তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না।
এক. আমানত সংরক্ষণ; দুই. কথায় সততা;
তিন. উত্তম চরিত্র; চার. হালাল খাদ্য।”
-মুসনাদে আহমাদ/৬৬৫২

রাসুল সাঃ বলেছেন,
“যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়,
সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।”
-বুখারী/৫৯৮৫

মু’আয ইবনু জাবাল রাঃ হতে বর্ণিত,
রাসূল সাঃ তাঁর জিহ্বা ধরে বললেন,
“জিহবা সংযত রাখ।
জেনে রেখ, কিয়ামতের দিন মানুষকে মুখ অথবা
নাকের উপর উপুড় করে টেনে-হিচড়ে নিয়ে
জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তার কারণ, মুখ থেকে বেরিয়ে আসা অসংযত কথা।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version