মহান স্রষ্টার প্রতি সর্বদা আনুগত্য থাকতে ইসলামিক স্ট্যাটাস

৯৩+টি ইসলামিক স্ট্যাটাস Best Islamic Status Bangla

ধর্মভীরু মুসলিমদের জন্য এখানে রয়েছে শতাধিক ইসলামিক স্ট্যাটাস। যা হৃদয়ের আল্লাহ তা’আলার প্রতি কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক হবে। আমাদের মহান স্রষ্টার প্রতি সর্বদা আনুগত্য থাকতে ইসলামিক এ স্ট্যাটাসগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সুন্দর জীবন নিয়ে স্ট্যাটাসগুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

পবিত্র কুরআন হতে ইসলামিক স্ট্যাটাস

আমাদের জীবন চলার পথ নির্দেশিকা পবিত্র কুরআন হতে বাছাই করা কিছু সেরা ইসলামিক স্ট্যাটাস থাকছে এখানে।

“আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে।”
আলকুরআন, সূরাঃ যারিয়াত, আয়াতঃ ৫৬,৫৭

“হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?”
আল ইন্ফিতার, আয়াতঃ ৬

“তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং
তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?”
আল-মুমিনুন, ১১৫

“বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত।
অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা
অমান্য করুক।(আংশিক)”
আল-ক্বাহাফ, আয়াতঃ ২৯

“আল্লাহ ব্যতীত আর কোনোই উপাস্য নেই।
অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন কেয়ামতের দিন, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা আর কার হবে!”
আল কুরআন, সূরাঃ আন-নিসা, আয়াতঃ ৮৭

“নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে
বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।”
আলকুরআন, সূরাঃ ক্বাফ, আয়াতঃ ৫৪

“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক।
এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।”
আল ইমরান, ১০২

পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়।
পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর।
তোমরা কি বুঝ না ?
আল আনআম#৩২

“তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না,
কারও কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কারও সুপারিশ ফলপ্রদ
হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না।”
আল-বাকারাহ, ১২৩

“আর তুমি যদি তাদেরকে সুপথে আহবান কর, তবে তারা
তা কিছুই শুনবে না। আর তুমি তো তাদের দেখছই,
তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, অথচ তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।”
আলকুরআন, সূরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ১৯৮

“তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ;
আমরা মরি ও বাঁচি মহাকালই আমাদেরকে ধ্বংস করে।
তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই।
তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে।”
আলকুরআন, সূরাঃ জাসিয়াহ, আয়াতঃ ২৪

“বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে,
অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না।
আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।”
আল কুরআন, সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৩৬

”নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ,
এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।”
সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:৩৬

“আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে,
তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না,
আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না।
তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর।
তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।”
আলকুরআন, সূরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ১৭৯

”আমি যদি ইচ্ছে করতাম তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎ পথে পরিচালিত করতাম।
কিন্তু আমার (এ) কথা অবশ্যই সত্য প্রতিপন্ন হবেঃ
আমি নিশ্চয়ই জাহান্নামকে জ্বিন ও মানুষ মিলিয়ে পূর্ণ করব।”
আস-সাজদাহ, ১৩

‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি।
যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর,
তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’
সূরাঃ আল আরাফ, আয়াতঃ ২৩

“আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব।
সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়,
আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট।”
আম্বিয়া, ৪৭

“হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর
আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে
আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।”
আল-ইমরান, আয়াতঃ ৮

পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়।
পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর।
তোমরা কি বুঝ না ?
আল আনআম#৩২

“হে আমাদের রব! যেদিন হিসাব কায়েম হবে সেদিন আমাকে,
আমার পিতামাতাকে এবং সমস্ত মুমিনদেরকে মাফ করে দিও।”
সূরাঃ ইবরাহীম, আয়াতঃ ৪১

“মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে,
আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?”
আল-কুরআন#২৯ঃ2

“কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি
নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।”
সূরা সাজ্দা নং আয়াত 17

“অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?”
আর -রহমান আয়াতঃ ১৩

“মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী;
অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।”
আল আম্বিয়া, আয়াতঃ ১

বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ হতে বাছাই করা ইসলামিক স্ট্যাটাস

বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থসমূহ হতে বেছে বেছে নেয়া সূত্রসহ উল্লেখ করা ইসলামিক স্ট্যাটাস থাকছে এখানে।

বিভিন্ন মনীষি ব্যক্তিদের ইসলামিক উক্তি

পৃথিবীতে যুগে যুগে আগমনকারী বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গের ইসলাম বিষয়ক মূল্যবান উক্তিগুলি পাবেন এখানে।

আপনার মন যা চায় তা’ই করুন, কেউ বাধা দেবে না।
শুধু জেনে রাখুন, নিশ্চই এসবের হিসেব নেয়া হবে।

আদম সন্তানের অধিকতর পাপ তার
জিহবা দ্বারাই হয়ে থাকে।

যে প্রিয় মানুষগুলোর জন্য বৈধ-অবৈধ বিবেচনা না করেই অর্থ কামাই করছেন,
দিনে-রাতে শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে অর্থ জমা করছেন,
আপনার মৃত্যুর পর সেই প্রিয় মানুষ বা সেই অর্থ আপনার কোন কাজে আসবে কি?

অজু হলো আপনার মালিকের সাথে
কথা-বার্তার পূর্ব প্রস্তুতি।
অতএব অজু করুন খুশির সাথে।

আল্লাহতায়ালার নিকট আত্মসমর্পণকারী
যতটা প্রশান্তিতে থাকে
তা আর অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়!

মৃত্যু হঠাৎ করেই একদিন কানের কাছে এসে বলবে,
ফেরার সময় হয়ে গেছে,
চলো এবার যাওয়া যাক

অন্যান্য পশুপাখিরা কিন্তু তাদের শেষ পরিনতি
সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে না।
কিন্তু আমরা মানুষ, আমাদের শেষ পরিনতি
সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করতে পারি।

আমাদের করা ছোট ছোট পাপগুলি যদি আল্লাহতায়ালা লিখে রাখেন
তবে আমাদের করা ছোট ছোট ভাল কাজগুলিও তিনি লিখে রাখবেন।
তাই আসুন ছোট হলেও দৈনিক কিছু ভালকাজ করার চেষ্টা করি।

আমাদের মালিক আমাদেরকে যেভাবে,
যা দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

আমি কখনওই আমার সৃষ্টিকর্তাকে আমাকে এটা দেয়নি,
ওটা দেয়নি বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারি না।

আমার কৃতকর্মের বিচার আমার মালিক করবেন।
আমার মালিকের বিচার আমি কখনই করতে পারব না
বা করার দুঃসাহস করতে পারি না।

কবরের অন্ধকারটা আমার জন্য কেমন হবে!
আমার করা আমল কি সে দিন একটু আলো হবে?
নাকি আমার করা পাপগুলোর ক্ষমতা বেশি হবে?

আপনি কোনটি চান?
দুনিয়া নাকি পরকাল,
দুটো একসাথে পাবেন না।

“হে আল্লাহ, আমাদের সকল আমল যেন
নেক আমল হয় এবং তা যেন
একমাত্র আপনারই জন্য হয়।
উহার কিয়দংশও যেন আপনি ভিন্ন
অন্য কারোর জন্য না হয়” -আমিন।

নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষেত্রে
সবচেয়ে মারাত্মক ত্রুটি হচ্ছে উক্ত নেক কাজ
করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়াও অন্যকে খুশী করার নিয়ত।

যে চোখ দিয়ে এ রঙিন পৃথিবীটা দেখছেন,
সেই চোখ যিনি আপনাকে দিয়েছেন
তিনি কতটা দয়াময়, ভেবে দেখেছেন কি?

আপনার দুটি চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে দেখুন।
এ চোখ দুটোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য
যদি সারা জীবন তার ইবাদাত করি তবুও কম হবে।

আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে
জান্নাত অথবা জাহান্নাম!
অথচ আমরা এ বিষয়ে উদাসীন।

মনে আছে তো,
আপনার প্রতিটি আয় ও ব্যয়ের হিসাব
আপনার মালিক কে দিতেই হবে।

নিশ্চই আমাদের মহান রব
অত্যন্ত দয়ালু।

কাউকে অতীতের গুনাহ নিয়ে খোটা দিও না।
সে হয়তো তওবা করে আল্লাহর কাছে
তোমার থেকেও উওম হয়ে গেছে।

“আমার”
আসলে কি কি আমার।
ভেবে দেখেছেন কি শেষ পর্যন্ত কি কি
আমার থাকবে!

কবরস্থানের কাছে যান,
আপনার অনেক প্রশ্নের জবাব
পেয়ে যাবেন।

দ্বীনি জ্ঞান অপেক্ষা বড় নিয়ামত
আর কিছুই হতে পারে না।

যদি আমরা আল্লাহ তায়ালাকে না চিনি,
না জানি তবে আমাদের সমূহ আমল
বিনষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

“আল্লাহতায়ালার ক্রোধ এর চাইতে
তার দয়া অনেক বেশী”
আমাদের জন্য এটাই যথেষ্ট।

প্রতিটা হাসির পর যদি আল্লাহকে
ধন্যবাদ না জানান তাহলে
আপনার কোন অধিকার নেই প্রতিটা
কান্নার পর আল্লাহকে দোষ দেওয়ার।
# ইমরান ফরহাদ

আপনার করা কোন কোন কাজগুলি
আল্লাহতায়ালা দেখছেন না বলে
আপনি মনে করছেন!

আল্লাহ কারও উপর রাগ করলে
রিজিক বন্ধ করে দেন না।
শুধু সিজদা দেয়ার তাওফিক
ছিনিয়ে নেন।

সন্ধ্যায় মারা যান
বেশী সময় লাগবে না,
দেখবেন রাতেই জানাজা’র আয়োজন।

হে ক্লান্ত আত্মা
নিরাশ হইয়ো না।
শীঘ্রই এই কষ্টের মুহুর্তগুলি
শেষ হবে।

রাত যতই দীর্ঘ হোক
সকালের আলো ফুটবেই।
জীবন যতই সুখের হোক
কবরের ডাক আসবেই।

কাউকে ঠকানোর চেয়ে
নিজে ঠকে যাওয়া ভালো।
কারণ, ঠকে যাওয়া ব্যক্তির সাথে রব রয়েছেন।
যে ঠকালো তার সাথে নয়।

ভেবে বলুন তো কাকে কাকে আপনার
আপন মনে হয়?
আকাশের দিকে তাকাও,
আল্লাহ ছাড়া কাউকেই
আপন মনে হবে না!

পাপ তো করেই চলেছেন বরং
জেনে শুনেই করছেন।
কিন্তু শেষ সময়ে
মাফ চাইবার সময় পাবেন তো?

সমাজে সুখ-শান্তি বিনষ্টকারী
দুটি ব্যধি হচ্ছে
“হিংসা ও অহংকার”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version