একজন সফল ব্লগার হতে হলে ব্লগিং এর খুটিনাটি বিষয়সমূহ ভালোভাবে জানতে হবে। ব্লগ বিষয়ে এখানে আমরা ব্লগিং এর খুটিনাটি বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। ব্লগিং কি, এ বিষয়ে আপনি নিশ্চই ইতিমধ্যে জেনে থাকবেন। যদি এ বিষয়ে জানতে চান তবে এখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।
Table of Contents
ব্লগিং এর খুটিনাটি
এখানে ব্লগ বিষয়ে ব্লগিং এর খুটিনাটি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ব্লগিং এ ডোমেন কি?
ব্লগিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডোমেন। ডোমেন হলো ওয়েব ঠিকানা যা ব্যবহার করে পাঠকরা আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে প্রবেশ করতে ব্যবহার করবে৷ এটি ছোট অর্থাৎ দুই শব্দ, সর্বোচ্চ তিন শব্দ বিশিষ্ট হতে হবে, সহজেই মনে রাখার মতো এবং আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। যেমন এই ব্লগ সাইট এর ডোমেন হলো “ebdinfo.com”।
আপনাকে একটি ডোমেন নেম ১২ থেকে ২০ ডলার বিনিময়ে এক বছরের জন্য ক্রয় করতে হবে। যা বছরে বছরে নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে রিনিউ করতে হবে।
হাইপার লিংক কি?
হাইপার লিংক হলো একস্থান হতে অন্য স্থানে জাম্প করা। সহজভাবে বলা যায় হাইপারলিঙ্ক একটি লিঙ্ক যা একটি রেফারেন্স বা সংযোগ। একটি ওয়েব পেজ হতে অন্য একটি ওয়েব পেজ গমনের জন্য বা একই ওয়েব পেজ এর মধ্যে একটি অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে যাওয়ার জন্য হাইপার লিংক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত একটি হাইলাইট করা বা আন্ডারলাইন করা টেক্সট অথবা কোন ইমেজে সেট করা থাকে। যেখানে ক্লিক করা হলে ক্লিককারীকে ইন্টারনেটের একটি ভিন্ন ওয়েবপেজ, ওয়েবসাইট বা রিসোর্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাইপার লিংক ব্লগিং এর খুটিনাটি বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাইপারলিঙ্ক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর তথা ইন্টারনেট এর মৌলিক উপাদানগুলির একটি অন্যতম উপাদান। কোনো ব্যবহারকারীকে ম্যানুয়ালি URL বা ওয়েব এ্যাড্রেস টাইপ না করেই সহজে লিঙ্কে ক্লিক করে বিভিন্ন ওয়েব পেজ, ওয়েবসাইট বা অন্যান্য অনলাইন অবস্থানগুলির মধ্যে নেভিগেট করার সুবিধা দিয়ে থাকে৷ হাইপারলিঙ্ক বিভিন্ন কাজে যেমন ইমেল ঠিকানা, ডাউনলোডযোগ্য ফাইল এবং ডকুমেন্টে লিঙ্ক করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইউআরএল কি?
URL এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে “ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটার”। ইউআরএল ইন্টারনেটে কোনো একটি অবস্থানের ঠিকানা নির্দিষ্ট করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। URL হল একটি ওয়েব ঠিকানা যা আপনি কোনো ব্রাউজারের এ্যড্রেসবারে টাইপ করে আপনি নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট বা একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পেজ-এ প্রবেশ করতে পারেন।
একটি সাধারণ URL-এ কয়েকটি অংশ থাকে, যার মধ্যে রয়েছে:
Protocol: প্রোটোকল হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল বা HTTP এর জন্য “http://” বা HTTP সিকিউর (HTTPS) এর জন্য “https://” দিয়ে অনলাইনের নির্দিষ্ট রিসোর্স অ্যাক্সেস করতে ব্যবহৃত যোগাযোগ প্রোটোকল কে নির্দেশ করে থাকে। যা বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ডেটা এনক্রিপ্ট করে পেজ অ্যাকসেস সুবিধা দিয়ে থাকে।
Domain Name: এটি একটি ইউনিক নেম যা ইন্টারনেটে শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটকেই চিহ্নিত করে, যেমন “example.com”। ডোমেন নাম দুটি অংশ মিলে তৈরী হয়। শীর্ষ-স্তরের ডোমেইন (যেমন example) এবং এর শেষে বিন্দুর পরে “.com”, “.org”, বা “.net” ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
Path: পাথ ডোমেনের অধীনে থাকা একটি ওয়েব সার্ভারে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান যেমন একটি ডিরেক্টরি বা ফাইলের নির্দিষ্ট অবস্থান নির্দিষ্ট করে। এটি প্রায়ই ডোমেন নামের পরে আসে এবং স্ল্যাশ (“/”) দ্বারা পৃথক করা হয়।
Query parameter: এটি অতিরিক্ত প্যারামিটার যা ওয়েব সার্ভারে তথ্য পাঠানোর জন্য একটি URL-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে, সাধারণত চলমান কোনো সামগ্রী তৈরির জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, URL “https://www.example.com/products/shoes?color=red” প্রোটোকল নিয়ে গঠিত লিংক এর ইউআরএল= “https://”, ডোমেন নাম= “www.example.com”, পথ= “/ পণ্য/জুতা, এবং ক্যোয়ারী প্যারামিটার= “রঙ=লাল”। যখন একটি ওয়েব ব্রাউজারে প্রবেশ করা হয়, তখন এই URLটি সাধারণত ব্রাউজারটিকে “example.com” ওয়েবসাইটের “জুতা” নামক পেজ-এ নিয়ে যায় এবং ওয়েব সার্ভারে রঙের মান “লাল” সহ ক্যোয়ারী প্যারামিটার “রঙ” প্রদর্শন করে থাকে।
ইন্টারলিঙ্কিং কি?
Interlinking যা internal linking নামেও পরিচিত। এটিকে অভ্যন্তরীণ হাইপারলিঙ্ক ও বলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে একই ওয়েবসাইট বা ডোমেনের মধ্যে বিভিন্ন পেজ বা পোস্ট-কে সংযুক্ত করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইন্টারলিঙ্কিং একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান) এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে একটি ওয়েবসাইটের কাঠামো এবং শ্রেণিবিন্যাস বুঝতে সাহায্য করে এবং এটি বিষয়বস্তুর মধ্যে প্রাসঙ্গিক এবং সহায়ক লিঙ্ক প্রদান করে ব্যবহারকারীকে ওয়েব সাইট অ্যাকসেস করায় সুবিধা প্রদান করে থাকে। ইন্টারলিঙ্কিং সাধারণ অ্যাঙ্কর টেক্সটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, যা একটি ক্লিকযোগ্য টেক্সট বা হাইপারলিঙ্কযুক্ত, অথবা অন্যান্য HTML উপাদান যেমন বাটন, ছবি বা নেভিগেশন মেনুর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে নেভিগেশন করতে ইন্টারলিঙ্কিং ব্যবহারকারীকে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন পেজ বা পোস্টে সহজেই নেভিগেট করতে সাহায্য করে। যাতে একজন ব্যবহারকারী দ্রুত তার কাঙ্খিত প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পেতে পারেন।
তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইন্টারলিঙ্কিং একটি স্বাভাবিক এবং প্রাসঙ্গিক পদ্ধতিতে করা উচিত। ব্যবহারকারী যাতে অপ্রাসঙ্গিক ইন্টারলিঙ্কিং এ না পরে এবং অতিরিক্ত লিঙ্কিং বা অতিরিক্ত-অপ্টিমাইজেশন এড়ানো উচিত। নতুবা এটি ওয়েব সাইটের জন্য নেতিবাচক SEO ফলাফল পেতে পারে। যেমন এখানে ক্লিক করলে আপনাকে এই ডোমেন এর অধীনে ব্লগিং কি এ বিষয়ের পোষ্টে নিয়ে যাওয়া হবে।
External linking যা outbound linking বা outbound links নামেও পরিচিত। এটি একটি ওয়েবসাইটের এমন হাইপারলিঙ্ক যা ওয়েবসাইটের নিজস্ব ডোমেনের বাইরে অন্য ওয়েবসাইট বা ডোমেনগুলিকে নির্দেশ করে। এই হাইপারলিঙ্কগুলি ব্যবহারকারীকে বহিরাগত ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ -এ নিয়ে যায় যা বর্তমান পেজ এর বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক।
External linking সাধারণত কোনো ওয়েবসাইট বিষয়বস্তু, ব্লগ পোস্ট, প্রবন্ধ, অতিরিক্ত তথ্য, তথ্যসূত্র, উৎস ইত্যাদি প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বাহ্যিক লিঙ্কগুলি অ্যাঙ্কর টেক্সট, বাটন, ছবি বা অন্যান্য HTML এর আকারে হতে পারে। যেমন এখানে ক্লিক করলে আপনাকে কোভিড ১৯ সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে।
নিশ (Niche) কি?
নিশ হলো কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা সাবজেক্ট। যেটি নিয়ে আপনি ব্লগিং কিংবা অনলাইনে লেখালেখি করবেন। ধরুন, আপনি চাইলে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখি করতে পারবেন না। কারণ এটি অনেক সময় উপযোগী। এবং বিশাল জ্ঞান আহরণ করতে হয়। একজন মানুষ সব বিষয়ে পারোগ্য হয় না। হলেও খুব হাতে গোনা কয়েকজন।
ব্লগিং করার বিভিন্ন বিষয়-বস্তু আছে। যেমনঃ শিক্ষা, চাকরি, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, বিনোদন, অর্থনীতি। এর মধ্যে যে কোন একটি বিষয় নিয়ে ব্লগিং বা আর্টিকেল লেখালেখি করা যায়। সেগুলো নিয়ে যদি কোনো একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেন, তবে বলবো সেটা নির্ধারিত নিশের উপর গড়ে উঠেছে।
ধরুন আপনি শিক্ষা, পড়াশোনার বিষয় বস্তু নিয়ে একটি ব্লগ সাইট খুলবেন। এখানে নিশ হলো শিক্ষা। এর বাইরে কোন টপিক আপনি এখানে নিতে পারবেন না। এবং এটা নিয়ে লেখালেখি করলে, সবাই এতোটুকু নিশ্চিত হতে পারবে যে এই সাইটটি শিক্ষাবিষয়ক। এখানে শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাবলিশ করা হয়।
একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্স অর্থাৎ ভিজিটর আপনার সাইটে প্রতি আকৃষ্ট হবে। এবং নিয়মিত ভিজিট করবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরাই আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত ভিজিটর হবে। বাংলাদেশে কিন্তু বিপুল এমাউন্টে ছাত্র-ছাত্রী আছে।
এভাবে ব্লগিং এর সাথে নিশের সম্পর্ক আছে। নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি ভালো। আবার চাইলে মাল্টিপল নিশ নিয়েও কাজ করা যায়। অর্থাৎ একাধিক নিশ। যেমনঃ আপনার ব্লগ সাইটে যেভাবে শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ পাবে। একইভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেলও প্রকাশ পাবে। আবার অনলাইনে আয়ের, প্রযুক্তি নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ পাবে। তাহলে সেটা হবে একটি মাল্টিপল ব্লগ সাইট।
তবে এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। অনেক জ্ঞান আহরণ করে সেই বিষয়গুলোতে লেখালেখি করার প্রয়োজন হয়। তবে তাদের ক্যাটাগরি উল্লেখ রেখে, ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে আর্টিকেল সাবমিট করতে হয়। আর্টিকেল মানে একটি তথ্যবহুল লেখা, যেমনটা আমার এই পোস্ট।
কীওয়ার্ড কি?
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কীওয়ার্ড হলো একটি শব্দ বা বাক্যাংশ যা ওয়েবে কোন অনুসন্ধানকারীর প্রশ্নের সাথে মিলে যায় এমন তথ্য খুজে পেতে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য একটি রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। কীওয়ার্ড ব্লগিং এর ক্ষেত্রে মারাত্মক ভূমিকা রাখে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যা মূল থিম বা বিষয়বস্তুর একটি অংশকে বর্ণনা করে, যেমন- একটি ওয়েব পেজ, ব্লগ পোস্ট বা অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনে (SEO) কীওয়ার্ডগুলি অপরিহার্য। কারণ এগুলি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে একটি পেজ এর বিষয়বস্তু এবং প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে অনেকাংশে সাহায্য করে এবং এর ফলে এটিকে অনুসন্ধান ফলাফলে র্যাংকিং করে থাকে। একটি সফল ব্লগিং এর ক্ষেত্রে কীওয়ার্ড প্রধান বিষয় মনে করা হয়ে থাকে।
Permalink কি?
Permalink (“permanent link” এর সংক্ষিপ্ত রূপ) একটি URL যা একটি ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট পোস্ট বা পেজকে নির্দেশ করে। এটি একটি ইউনিক, অপরিবর্তিত ওয়েব ঠিকানা যা পেজ বা পোস্টের বিষয়বস্তু আপডেট করা হলেও বা ওয়েবসাইটের অন্য জায়গায় সরানো হলেও একই থাকে। যেমন, এই পোস্ট টিতে পরমালিংক হিসেবে “https://ebdinfo.com/ব্লগিং-এর-খুটিনাটি-বিষয়/” সেট করা হয়েছে।
একটি ব্লগ সাইটের জন্য পারমালিংক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি কোন পোস্ট পাবলিশ করা হলে এবং তা কোনো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হবার পর যদি পারমালিংক পরিবর্তন করা হয় তবে তা ওয়েব সাইটের জন্য একটু ক্ষতিকর হয়ে যায়। কারণ কোনো ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা লিংকে প্রবেশ করলে ওয়েব সাইট সেটি প্রদর্শন করতে পারে না। এ জন্য পারমালিংক ভেবেচিন্তে নির্বাচন করা উচিত।
Permalink বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): পোষ্টের বিষয়বস্তু তথা কীওয়ার্ড রয়েছে এমন পারমালিংক একটি ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে তার র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
বুকমার্কিং: Permalink ব্যবহারকারীর জন্য একটি ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পেজ বা পোস্ট বুকমার্ক এবং শেয়ার করা সহজ করে তোলে।
লিঙ্কিং: অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি তাদের পারমালিঙ্ক ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পেজ বা পোস্টের সাথে লিঙ্ক করতে পারে, যা ট্রাফিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের SEO উন্নত করতে পারে।
404 মেসেজ কি?
ইন্টারনেট এবং ওয়েবসাইট বিষয়ে 404 ত্রুটি হল একটি HTTP স্ট্যাটাস কোড, যা নির্দেশ করে যে ব্যবহারকারীর চাহিত ওয়েব পেজ খুঁজে না পাওয়া যাওয়া৷
যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও লিঙ্কে ক্লিক করে বা কোনও URL-এ টাইপ করে যা কোনও ওয়েবসাইটে বিদ্যমান নেই, তখন সার্ভার একটি 404 ত্রুটি কোড প্রদর্শন করে। সাথে একটি বার্তাও প্রদর্শিত হয় “404 পৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি” বা “অনুরোধ করা URLটি এতে পাওয়া যায়নি।”
404 ত্রুটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। যেমন,
- কাঙ্খিত পেজটি মুছে ফেলা হয়েছে বা ওয়েবসাইটের অন্য জায়গায় সরানো হয়েছে। কোনো কোনো সময় ব্যবহারকারীর URL টি টাইপ করার সময় ভুল করা হয়ে থাকতে পারে।
- ওয়েবসাইটটি প্রযুক্তিগত সমস্যা বা সার্ভারের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
- ওয়েবসাইট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইচ্ছাকৃতভাবে পেজ লিংক পরিবর্তন বা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কারণে হতে পারে।
- সফলভাবে ব্লগিং এর জন্য 404 ত্রুটিযুক্ত পেজগুলির নিয়মিত পরীক্ষা করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ৷