আপনার জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপ যুক্ত করে জিমেইল এর নিরাপত্তা শক্তিশালী করে নিন। কারণ এখন জিমেইল শুধুমাত্র একটি ইমেইল আইডি নয় এতে থাকে আমাদের অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য। ফটোস, নোট, ক্যালেন্ডারের বিভিন্ন ইভেন্ট, গুগল ড্রাইভ, কনট্যাক্ট নম্বর, ইউটিউব চ্যানেল, আদান-প্রদানকৃত মেইলসমূহ এ রকম অসংখ্য তথ্য থাকে আমাদের একটি জিমেইল অ্যাকাউন্টে। কোনো কারণে যদি এই আইডি কোনো অসাধু ব্যক্তিবর্গ হাতিয়ে নেয় তবে আমাদের এ রকমের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেহাত হয়ে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা আজ শিখবো কিভাবে একটি জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপ সেট করবেন।
Table of Contents
জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপ কিভাবে কাজ করে?
একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল আইডিতে অথেন্টিকেটর অ্যাপ যুক্ত করার পর আপনি যখনই কোনো নতুন লোকেশন হতে তথা নতুন কোনো ডিভাইস হতে আপনার জিমেইলে লগইন করতে চেষ্টা করবেন তখন উক্ত জিমেইলের পাসওয়ার্ড দেবার পরও আপনাকে অথেনটিকেটর অ্যাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কয়েক সেকেন্ড পর পর জেনারেট হওয়া কোড প্রবেশ করাতে হবে। এতে করে আপনার জিমেইল আইডি এর পাসওয়ার্ড যদি কেউ হাতিয়েও নিয়ে থাকে তবে অথেন্টিকেটর কোড না জানার কারণে এতে লগইন করতে পারবে না। এতে করে আপনার জিমেইলে সহজেই যেকেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যা আপনার জিমেইল আইডিকে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদান করবে।
কিভাবে জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপ যুক্ত করবেন?
জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপ যুক্ত করার জন্য প্রথম ধাপে আপনার স্মার্টফোনে একটি অথেন্টিকেটর অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে জিমেইলে অথেন্টিকেটর অ্যাপটি যুক্ত করে নিতে হবে। নিম্নে ধাপদুটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
প্রথম ধাপ
আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে যুক্ত করার জন্য অনলাইনে আপনি অনেকগুলো অথেন্টিকেটর অ্যাপ পাবেন। সেখান হতে আপনার পছন্দমতো একটি অথেন্টিকেটর অ্যাপ প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে ইনস্টল করে নিন। তবে আমরা পরামর্শ দেব মাইক্রোসফট অথেন্টিকেটর অ্যাপ ব্যবহার করতে। এই অ্যাপটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোটামুটি সন্তোষজনক। অবশ্য এটি ব্যবহারে আপনার মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
স্মার্টফোনে অথেন্টিকেটর অ্যাপ ইনস্টল করা
আপনার স্মার্টফোনে গুগল প্লেস্টোরে গিয়ে “Microsoft Authenticator” লিখে সার্চ করলে নিম্নের চিত্রের মতো অ্যাপ আইকন দেখতে পাবেন। স্বাভাবিকভাবে তা ইনস্টল করে নিন।
অ্যাপটি চালু করুন। Privacy Statement সংক্রান্ত মেসেজ দেখাবে সেখানে “Accept” অপশন নির্বাচন করে নিন। এরপর আবারও “Continue” অপশন নির্বাচন করুন। নিম্নের চিত্রের মতো একটি মেসেজ দেখাবে।
এখানে Sign in with Microsoft অপনশন নির্বাচন করে নিন এতে করে আপনার অথেন্টিকেশন সেট করা এক বা একাধিক অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্ট এর অথেন্টিকেশন তথ্য মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে স্টোর করা থাকবে। ফলে আপনার স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে বা কোন কারনে অ্যাপটি মুছে গেলেও পরবর্তীতে পুনরায় মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে অথেন্টিকেশন কোড গুলি পুনরায় পেয়ে যাবেন।
দ্বিতীয় ধাপ
জিমেইলে অথেন্টিকের অ্যাপ যুক্ত করার জন্য যে কোনো কম্পিউটার ডিভাইস থেকে প্রথমে আপনার কাঙ্খিত জিমেইল এ লগইন করে নিন। এবারে নিম্নের চিত্রের মতো প্রথমে প্রোফাইলে ক্লিক করুন। তার পর নিচের দিকে “Manage your Google Account” অপশনে ক্লিক করুন।
এবারে আপনাকে নিম্নের চিত্রের মতো একটি পেজ এ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাম দিকে থাকা “Security” অপশনে ক্লিক করে ডান দিক হতে “Passkeys” অপশনে ক্লিক করুন।
এবারে নিম্নের চিত্রের মতো পেজ এ আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চিহ্নিত “Create a passkey” অপশনে ক্লিক করুন।
এবারে নিম্নের চিত্রের মতো একটি পপআপ মেসেজ দেখাবে।
অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আবারও আপনার নিকট পাসওয়ার্ড চাইবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে নিন। এবারে নিম্নের চিত্রের মতো পেজ এ চিহ্নিত স্থানে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে নিন। এরপর “Next” বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইলে একটি ছয় ডিজিটের ওটিপি পাবেন। উক্ত ওটিপি বসিয়ে নিয়ে “Next” বাটনে ক্লিক করুন। কোনও কারণে ওটিপি পেতে দেরী হলে সেখানে থাকা “Resend” অপশনে ক্লিক করুন।অভিনন্দন আপনি সফলভাবে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে অথেন্টিকেটর অ্যাপ যুক্ত করতে পেরেছেন। এখন থেকে অপরিচত কো ডিভাইসে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার সময় আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড দেবার পরও অথেন্টিকেটর অ্যাপ এ জেনারেট হওয়া কোড প্রবেশ করাতে হবে।
তবে এখানে বলে নেয়া ভালো যে, সত্যিকার অর্থে অনলাইনে কোনো কিছুই শতভাগ নিরাপদ নয়। সেটা আপনি যা-ই বলেন না কেনো। তাই নিজ দায়িত্বে আপনার জিমেইল বা অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলির নিরাপত্তার দিকে নজর রাখুন।