ব্লগিং সময়ের অন্যতম একটি সফল পেশা। অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সব থেকে সহজ উপায় ব্লগিং। কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন সে বিষয় নিয়ে এই পোষ্টে থাকছে বিস্তারিত।
Table of Contents
ব্লগিং কি?
লেখালেখি বা ব্লগিং হলো অনলাইনে কোনো বিষয়ের উপর তথ্য সমৃদ্ধ নিবন্ধ বা আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করা। ব্লগে যারা নিয়মিত লেখেন তারা ব্লগার হিসাবে পরিচিত। ব্লগিং এক বা একাধিক ব্যক্তি মিলে নিয়মিতভাবে কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগে নিবন্ধ, পোস্ট বা অন্যান্য লিখিত সামগ্রী প্রকাশ করে থাকেন। এই পোস্টগুলির মধ্যে সাম্প্রতিকতম পোস্টগুলি ব্লগ পৃষ্ঠার প্রথম দিকে প্রদর্শিত হয়৷ ব্লগিং, কোনো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, শখ, আগ্রহ, সংবাদ, মতামত, পর্যালোচনা এবং তথ্যমূলক নিবন্ধসহ হতে পারে। ব্লগিং এর বিষয়বস্তুর কোন সীমা রেখা নেই।
ব্লগার প্রায়ই মন্তব্যের মাধ্যমে পাঠকদের সাথে ব্লগারের কথোপকথোনের সুযোগ দিয়ে থাকে। যা প্রকাশিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে পাঠক ও লেখকের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে। ব্লগারগণ তাদের নিবন্ধের বিষয়বস্তু উন্নত করতে এবং পাঠকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করতে কখনও কখনও ইমেজ, ভিডিও এবং হাইপার লিঙ্কের মতো অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন।
ব্লগ লেখা ব্যক্তিগত বা পেশাদার প্রকৃতির হতে পারে এবং অনেক ব্লগার তাদের ব্লগগুলিকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ রেখে তাদের চিন্তাভাবনা, ধারণা এবং দক্ষতা প্রকাশ করে থাকেন। কিছু ব্লগার বিজ্ঞাপন, স্পনসর করা সামগ্রী, বা পণ্য বা বিভিন্ন ধরণের সেবা বিক্রি করে তাদের ব্লগকে আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
ব্লগ ইন্টারনেটে যোগাযোগ এবং আত্ম-প্রকাশের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেক ব্যক্তি ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে বেশ সফলভাবেই তা পরিচালনা করছেন।
ব্লগিং করে কি আয় করা সম্ভব?
অবশ্যই ব্লগিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। অনেক ব্লগার রয়েছেন যারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, কোনো বিষয়ে স্পন্সর করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি এবং আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ব্লগ থেকেই আয় করা সম্ভব নাও হতে পারে। একটি ব্লগ এর সাফল্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।
যেমন ব্লগের বিষয় না নিশ, এতে কোন শ্রেণীর পাঠক আসেন, ব্লগে নিবন্ধের গুণমান, ব্লগটিকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানোর কৌশল এবং আরও অনেক কিছু। একটি সফল এবং লাভজনক ব্লগ তৈরি করতে অনেকটা সময়, প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য্যের প্রয়োজন৷
একজন ব্লগার তার ব্লগ হতে নিম্নোক্তভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন-
বিজ্ঞাপন
ব্লগাররা গুগল অ্যাডসেন্সের মতো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে সে বিজ্ঞাপনগুলিতে প্রাপ্ত ক্লিক বা ভিজিটরের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং এটি সব থেকে জনপ্রিয়। তবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করার পরিমান নির্ভর করে আপনার ব্লগের ভাষা ও ব্লগে কোন বিষয়ের উপর এবং কি ধরণের আর্টিকেল রয়েছে তার উপর।
ইংরেজিতে পাবলিশ করা একটি ভালোমানের ব্লগ হতে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমেই মাসে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা হতে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
স্পন্সর কন্টেন্ট
ব্লগাররা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্র্যান্ডের সাথে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে কোনো স্পন্সর কন্টেন্ট তৈরি করে তা তার ব্লগে প্রচার করতে পারেন। যেখানে তারা পেমেন্টের বিনিময়ে পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
ব্লগাররা অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে পারে এবং তাদের অন্যান্য লিঙ্কগুলির মাধ্যমে করা প্রতিটি বিক্রয় বা রেফারেলের জন্য একটি বিশেষ কমিশন হিসেবে ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এ ছাড়াও আর নানা উপায় রয়েছে একটি সফল ব্লগ হতে অর্থ উপার্জন করার। তবে এখানে আবারও মনে করিয়ে দেয়া ভালো যে, ব্লগিং থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান আয় করতে প্রচুর সময়, পরিশ্রম ও ধৈর্য্য প্রয়োজন হবে।
কেন ব্লগিং শিখবেন?
বিভিন্ন কারণে একজন ব্যক্তির কাছে ব্লগিং শেখা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। হতে পারে এটি নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একটি মাধ্যম, হতে পারে একটি ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করার কাজে অথবা জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার জন্য বা একটি বিশাল আকারের শ্রোতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে। নিজের লেখার দক্ষতার বিকাশ করার জন্যও হতে পারে। ব্লগিং আপনাকে বিশ্বের সাথে আপনার চিন্তাভাবনা, মতামত এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে অথবা নির্ধারিত কোনো বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সেই সাথে এ বিষয়ে সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ করতে ব্লগিং একটি সহজ মাধ্যম হতে পারে।
পেশা হিসেবে ব্লগিং কেমন?
ব্লগিং কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে অনেকেই এটি থেকে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করছেন। পার্ট টাইম হিসেবে তো আছেই অনেকেই একমাত্র ব্লগিংকেই বেশ সাচ্ছন্দের সাথে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কারণ ব্লগিংয়ে প্রচুর ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। এ কাজে আপনাকে কারও নিকট জবাবদিহীতা করতে হচ্ছে না।
একটি ভালো মানের ব্লগ হতে বেশ মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। যা সাধারণত অন্যান্য চাকুরী বা পেশা হতে অনেকটা কষ্টকর। তাই পেশা হিসেবে ব্লগিং বেশ সুবিধাজনক।
ব্লগ হতে আপনি সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন অর্থাৎ আপনি একবার কষ্ট করে ব্লগিং এ সফল হলে এর বিনিময়ে লংটাইম বেনিফিট পাবেন। যা কখনও কোন চাকুরি করে সম্ভব নয়।
ব্লগিং শুরু করতে কি কি প্রয়োজন?
একটি ব্লগ শুরু করতে আপনার বেসিক যে সকল সরঞ্জামাদি প্রয়োজন তা খুবই সামান্য। ব্লগিং করতে আপনার খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ সে সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত, ইন্টারনেট সুবিধাসহ একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন হলেই আপনি অনায়াসে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
তবে প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করতে আপনাকে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলি অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
বিষয়বস্তু বা নিশ
আপনার ব্লগের জন্য একটি বিষয়বস্তু বা নিশ নির্বাচন করে নিতে হবে। হতে পারে এটি একটি বিশেষ আগ্রহ, শখ বা অন্য কোনো বিষয় হতে পারে যা সম্পর্কে আপনি আগ্রহী এবং সে বিষয়ের উপার আপনি ধারাবাহিকভাবে লিখতে চান।
ডোমেন নাম
ব্লগিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডোমেন নেম। ডোমেন নেম হলো ওয়েব ঠিকানা যা ব্যবহার করে পাঠকরা আপনার ব্লগে প্রবেশ করতে ব্যবহার করবে৷ এটি ছোট অর্থাৎ দুই শব্দ, সর্বোচ্চ তিন শব্দ বিশিষ্ট হতে হবে, সহজেই মনে রাখার মতো এবং আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। আপনাকে একটি ডোমেন নেম ৮ থেকে ১০ ডলার বিনিময়ে এক বছরের জন্য ক্রয় করতে হবে। যা বছরে বছরে রিনিউ করতে হবে।
ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম
একটি ব্লগ সফলভাবে তৈরি এবং পরিচালনা করতে আপনাকে যে কোনো একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। সব থেকে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। এ ছাড়াও রয়েছে গুগলের ব্লগার এবং টাম্বলারের মতো বেশ কিছু বিকল্প প্ল্যাটফর্ম। ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে ব্লগ তৈরি এবং কাস্টমাইজ করার জন্য নানা ধরণের সুবিধা দেবে।
ওয়েব হোস্টিং
ব্লগিং এ ব্যবহৃত সকল ফাইল, ছবি, বা ভিডিও চিত্র সংরক্ষণ করার জন্য এবং তা সব সময় ইন্টারনেটে ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য একটি ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। অনেক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম তাদের নিজেদের হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে অথবা আপনি কোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদাভাবে ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করে নিতে পারেন।
ব্লগ ডিজাইন
আপনার ব্লগ টিকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে ডিজাইন করা বা কাস্টমাইজ করে নিতে হবে। যাতে এটি দেখতে আকর্ষণীয় এবং পাঠকের জন্য এর তথ্যগুলো পাঠ করতে অসুবিধা না হয়। ব্লগ ডিজাইন বা কাস্টমাইজ করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন যে কোনো ব্লগ থিম বা কোনো টেমপ্লেট। এতে বিভিন্ন বাটনের কালার, লিংক কালার, পোষ্টের আকার-আয়তন, ফন্ট এবং ছবি ইচ্ছেমত পরিবর্তন করার সুবিধা পাবেন।
প্রচার
যে কোনো ব্লগিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে অধিক পরিমান পাঠকদের আকৃষ্ট করা। এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং এবং এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) এর মতো বিভিন্ন কারিগরি টেকনিক আপনাকে অবলম্বন করতে হতে পারে।
এনগেজমেন্ট
আপনার ব্লগ পাঠকদের সাথে নিয়মিত রেসপন্স করতে হবে এবং আপনার ব্লগে তাদের ধরে রাখতে তাদের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান। একজন অনুগত পাঠক তৈরি করতে তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াকে মুল্যায়ন করুন।
মনিটাইজেশন
আপনি যদি আপনার ব্লগ থেকে আয় করার পরিকল্পনা করেন তবে আপনার ব্লগটিকে মনিটাইজ করার বিভিন্ন উপায় থেকে পছন্দসই একটি যুক্ত করতে চেষ্টা করুন। যেমন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, স্পনসর করা সামগ্রী, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বা পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করা ইত্যাদি। এগুলো পেতে তাদের কিছু শর্ত রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই পূরণ করার পর তা পেতে পারেন।
ধারাবাহিকতা
আপনার ব্লগের পাঠকদের ধরে রাখতে বা আগ্রহী রাখতে ব্লগে ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন তথ্যবহুল বিষয়বস্তু প্রকাশ করতেই থাকুন। নিয়মিতভাবে নতুন নতুন নিবন্ধ প্রকাশ করা বজায় রাখতে এটিতে লেগে থাকুন।
ব্লগিং শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত সময়, প্রচেষ্টা এবং অনেকটা, মনে রাখবেন অনেকটা ধৈর্য্যের প্রয়োজন। আপনার ব্লগিং এ সফলতার জন্য সঠিক মানসিকতা পরিপূর্ণ আন্তরিকতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে।
ফেসবুক থেকে আয় করার সহজ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন এ বিষয়ে শুরুতেই জানিয়ে দেয়া ভালো যে, ব্লগিং করতে অনেকটা ধৈর্য্যের প্রয়োজন। অনেকটা সময়, পরিশ্রম আর ধৈর্য্য নিয়ে এ কাজে লেগে থাকতে হয়। তাই আপনাকে সেভাবেই মন-মানসিকতা নিয়ে ব্লগিংএ আসতে হবে।
শুরুতেই আপনি ব্লগিং করার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য যেকোনো একটি বিনামূল্যের ব্লগিং প্ল্যাটফরমে ব্লগ খুলতে পারেন। আমাদের পরামর্শ হলো আপনি আগেই ডোমেন হোস্টিং ক্রয় না করে প্রথমের দিকে বিনামূল্যের ব্লগিং প্ল্যাটফরমগুলোতে একটি ব্লগ খুলে সেখানে অনুশীলন করে দেখতে পারেন। এতেকরে আপনার প্রচুর অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হবে।
এ ধরণের অনুশীলনের জন্য দুইটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম রয়েছে। একটি হলো গুগলের Blogger এবং অপরটি হচ্ছে WordPress। তুলনামূলক একটু বেশী সুবিধা পাবেন ওয়ার্ড প্রেস -এ আর ব্লগারে একটু কম। গুগলের ব্লগারে আপনি চুড়ান্তভাবেও ব্লগিং করতে পারেন। কারণ এটি একদম বিনামূল্যের। এমনও উদাহরণ রয়েছে যে, গুগলের ব্লগারে ব্লগিং করে অনেক ব্লগার বেশ সফলতাও অর্জন করেছেন। এ রকমের কিছু উদাহরণ নিম্নে দেয়া হলো।
বিনামূল্যের সফল ব্লগসমূহ
ব্লগের নাম: শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)
এ্যড্রেস: https://shubach.blogspot.com/
মাসিক ভিজিটরের সংখ্যা: 20k
ব্লগের নাম: Food Wishes
এ্যাড্রেস: https://foodwishes.blogspot.com/
মাসিক ভিজিটরের সংখ্যা: 425k
ব্লগের নাম: The Grumpy Economist
এ্যাড্রেস: https://johnhcochrane.blogspot.com/
মাসিক ভিজিটরের সংখ্যা: 150k
রাশিয়ার একটি ব্লগ
মাসিক ভিজিটরের সংখ্যা: 500k এর উপরে।
https://sworolipi.blogspot.com
https://cliffmass.blogspot.com
https://philofaxy.blogspot.com
https://earningtake.blogspot.com
এ রকম অসংখ্য ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে কোন রকম ইনভেস্ট করতে হয়নি অথচ তারা নিয়মিত ভিজিটর পাচ্ছেন এবং সেখান থেকে তারা দিব্যি আয় করছেন।
উপরের ব্লগ এ্যাড্রেসগুলোতে খেয়াল করলে দেখবেন যে, শেষের দিকে blogspot.com রয়েছে। অর্থাৎ এখানে blogspot.com হচ্ছে গুগলের ডোমেন এবং প্রথম দিকের shubach, foodwishes বা johnhcochrane হচ্ছে ব্লগারদের পছন্দের সাব ডোমেন।
আপনি যখন অর্থ দিয়ে কোনো পছন্দসই ডোমেন কিনবেন তখন তা হবে (আপনার পছন্দের শব্দ).com (যদি ইতিপূর্বে উক্ত শব্দ কেউ না নিয়ে থাকে) যেমনটি এই ব্লগের ক্ষেত্রে ebdinfo.com এ রকম।
আশা করছি এই আর্টিকেল হতে আপনি ব্লগ সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারণা পেয়েছেন। এ সম্পর্কে আপনার মুল্যবান মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না।