কম্পিউটার বর্তমান দুনিয়ায় প্রযুক্তির এক অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। এ পোষ্টে আমরা কম্পিউটার ও উইন্ডোজ সম্পর্কে বেসিক বিষয়গুলি জানতে চেষ্টা করবো। কম্পিউটার ও উইন্ডোজ কি? এখানে আমরা তা ধাপে ধাপে জানতে চেষ্টা করবো। আপনি অ্যাডভান্স লেভেলের ব্যবহারকারী হয়ে থাকলে এটি এড়িয়ে যেতে পারেন।
Table of Contents
কম্পিউটার ও উইন্ডোজ কি?
পিসি বা কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম নামক নির্দেশাবলী ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়া, সঞ্চয় এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে। এর প্রধান উপাদান হচ্ছে CPU, ROM, RAM, HDD, মাদারবোর্ড ইত্যাদি আর উইন্ডোজ মূলত হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যার। যা এই হার্ডওয়্যারগুলিকে পরিচালনা করার জন্য একটি নির্দেশমালা। উইন্ডোজ ছাড়াও কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারগুলিকে নির্দেশনা দেবার মতো আরও অনেক ধরণের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমন, ম্যাক, লিন্যাক্স ইত্যাদি। সাধারণত আমরা কম্পিউটার বলতে এই দুটির সমন্বয়কেই বুঝে থাকি।
কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি?
ল্যাটিন শব্দ ‘Computare’ থেকে Computer’ শব্দটি এসেছে। যার ইংরেজি অর্থ দাড়ায় ‘To Compute’। যার বাংলা অর্থ ‘গণনার জন্য’। কম্পিউটার শব্দটির দ্বারা অনেক আগে এক বিশেষ পেশার মানুষদের বোঝানো হতো। তাদের কাজই ছিল তৎকালীন যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর যেমন অ্যাবাকাস (Abacus), স্লাইড রুল (Slide Rules) ইত্যাদি ব্যবহার করে হিসাব-নিকেশের কাজ করা। পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে এই “কম্পিউটার” শব্দটি ব্যবহৃত হতো যে সকল যন্ত্র গণনা ও হিসেব করার কাজ করতা। সেখান থেকেই আধুনিক এ কম্পিউটার নামকরণ করা হয়।
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম নামক নির্দেশাবলী ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়া, সঞ্চয় এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে। এটি মৌলিক গণনা থেকে জটিল গণনা এবং সিমুলেশন পর্যন্ত বিশাল পরিসরে কাজ সম্পাদন করতে পারে। কম্পিউটারের প্রাথমিক উপাদানগুলি হলো হার্ডওয়্যার, যার মধ্যে রয়েছে ডিভাইসের শারীরিক উপাদান এবং সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম যা হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশাবলী।
Computer হার্ডওয়্যার কি?
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হলো এর ব্যবহারকারীর বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় দেয়া নির্দেশাবলী কার্যকর করার পার্টস সমূহ। হার্ডওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU), মেমরি, যা অস্থায়ীভাবে ডেটা এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশাবলী ধরে রাখে, স্টোরেজ ডিভাইস, যেমন হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) এবং সলিড-স্টেট ড্রাইভ (SSD) স্থায়ীভাবে ডেটা এবং সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও রয়েছে ইনপুট ডিভাইস, যেমন কীবোর্ড এবং মাউস, যা ব্যবহারকারীকে ডেটা বা কমান্ড প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটারের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে দেয়। রয়েছে আউটপুট ডিভাইস বা ফলাফল যেমন মনিটর এবং প্রিন্টার, তথ্য এবং আউটপুট ডেটা প্রদর্শন করে।
কম্পিউটার সফটওয়্যার কি?
সফটওয়্যার হল হার্ডওয়্যারের জন্য নির্দেশাবলীর সমষ্টি যা কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে থাকে যে কোন কাজগুলি সম্পাদন করতে হবে। এতে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে, যা কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার পরিচালনা করে এবং অন্যান্য সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলি চালানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে এবং অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার, যা নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট বিশ্লেষণ বা গ্রাফিক ডিজাইন করে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি রিং প্রযুক্তির এই সেরা আবিষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
অপারেটিং সিস্টেম বা OS কি?
নানা ধরণের হার্ডওয়্যারযুক্ত কম্পিউটারের চালিকাশক্তি হচ্ছে মূলত সফটওয়্যার। সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের জন্য করণীয় নির্দেশমালা। এমনই মূল সফটওয়্যার বা মূল নীতিমালা সম্বিলত প্রধান নির্দেশাবলীকে আপারেটিং সিস্টেম বলে। অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি দিয়ে কোনো কাজ করা সম্ভব না।
অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের অন্যান্য সকল প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে থাকে। অর্থাৎ যে সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে এপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে পরিচালনা করে সেটি হচ্ছে আপারেটিং সিস্টেম। কয়েকটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উইন্ডোজ, লিন্যাক্স, ম্যাক ইত্যাদি।
কম্পিউটার আমাদের কি কি কাজে লাগে?
Computer (কম্পিউটার) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে, আমরা যেভাবে কাজ করি, যোগাযোগ করি এবং তথ্য অ্যাক্সেস করি এতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সাথে, কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে বিশ্বব্যাপী সংযোগ এবং সহযোগিতা করতে সক্ষম করেছে, বিশ্বকে আরও সংযুক্ত এবং অ্যাক্সেসযোগ্য জায়গা করে তুলেছে। আধুনিক এ যুগে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় না।
কম্পিউটার কত প্রকার?
PC বা পার্সোনাল কম্পিউটার অনেক ধরণের হয়ে থাকে। আকার, কাজের ধরণ, গতি, ব্যবহারের ক্ষেত্র ইত্যাদি বিবেচনায় কম্পিউটারকে একাধিক ভাগে ভাগ করা যায়। আকারের দিক থেকে সাধারণত কম্পিউটারকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।
সুপার কম্পিউটার; মেইনফ্রেম কম্পিউটার; মিনি কম্পিউটার; ওয়ার্কস্টেশন; পার্সোনাল কম্পিউটার
কর্মক্ষমতা বা কর্মপদ্ধতির দিক থেকে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়
এনালগ কম্পিউটার; ডিজিটাল কম্পিউটার; হাইব্রিড কম্পিউটার
সফটওয়্যার কত প্রকার?
বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার রয়েছে, প্রতিটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পরিবেশনের জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। সফ্টওয়্যারকে আমরা সাধারণত নিম্নোক্তভাবে ভাগ করতে পারি
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার: যেমন আগে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি অপারেটিং সিস্টেম হল একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সংস্থান পরিচালনা করে। অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণগুলির মধ্যে Windows, macOS এবং Linux অন্তর্ভুক্ত।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার: এটি নির্দিষ্ট কাজ বা ফাংশন সম্পাদন করার জন্য ডিজাইন করা নির্দেশাবলী। অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম, ইমেল ক্লায়েন্ট, ওয়েব ব্রাউজার এবং মিডিয়া প্লেয়ার।
প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার: এটি এমন সফ্টওয়্যার যা প্রোগ্রামাররা কোড লিখতে, পরীক্ষা করতে এবং ডিবাগ করতে ব্যবহার করে। প্রোগ্রামিং সফ্টওয়্যারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট (IDEs) এবং বিভিন্ন কোড এডিটর।
ইউটিলিটি সফটওয়্যার: এটি এমন সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার সিস্টেম পরিচালনা এবং বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইউটিলিটি সফ্টওয়্যারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, ডিস্ক ক্লিনআপ টুল এবং ব্যাকআপ সফটওয়্যার।
শিক্ষামূলক সফটওয়্যার: এটি এমন একটি সফ্টওয়্যার যা নির্দিষ্ট বিষয় শিখতে বা শেখাতে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। শিক্ষামূলক সফ্টওয়্যারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ভাষা শেখার প্রোগ্রাম, গণিত গেম এবং সিমুলেশন সফ্টওয়্যার।
বিনোদন সফটওয়্যার: এটি বিনোদনের জন্য ডিজাইন করা সফ্টওয়্যার। বিনোদন সফ্টওয়্যারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ভিডিও গেমস, মিউজিক প্লেয়ার এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন।
এ ছাড়াও আরও অন্যান্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে।
উইন্ডোজ কি?
উইন্ডোজ মাইক্রোসফ্ট প্রতিষ্ঠানের তৈরি একটি বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সমন্বয়ের মাধ্যমে এর ব্যবহারকারীকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি সুন্দর গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) এর সুবিধা দিয়ে থাকে । উইন্ডোজ ওয়েব ব্রাউজিং, ডকুমেন্ট এডিটিং, মাল্টিমিডিয়া প্লেব্যাক, গেমিং এবং আরও অনেক কিছু সহ ব্যক্তিগত এবং পেশাদার ব্যবহারের জন্য নানা ধরণের সুবিধা প্রদান করে। সেই সাথে এ সকল কাজের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে।
প্রতিনিয়ত এটিকে আপডেট করা হচ্ছে এবং দিন দিন উইন্ডোজ এর উন্নতির সাথে সাথে বছরের পর বছর ধরে এটি বিবর্তিত হয়ে একটি বহুমুখী এবং শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। যা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন পর্যন্ত প্রায় সকল ধরণের ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ডেস্কটপ কি?
ডেস্কটপ হল একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের প্রাথমিক গ্রাফিকাল ইন্টারফেস। কম্পিউটার ব্যবহারকারী যখন তাদের কম্পিউটারে লগ ইন করে তখন প্রথমে ডেস্কটপ দেখতে পায়। এটি একটি ওয়ার্কস্পেস হিসাবে কাজ করে সেখানে ব্যবহারকারী তাদের ফাইল এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি অ্যাক্সেস এবং সংগঠিত করতে পারে।
ডেস্কটপে সাধারণত একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ বা ওয়ালপেপার, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন আইকন, স্টার্টমেনু, একটি টাস্কবার বা ডক এবং বিভিন্ন উইজেট বা গ্যাজেট থাকে। ডেস্কটপ একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসের একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে এর ব্যবহারকারীকে কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট এবং পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মাউস কি?
মাউস একটি পয়েন্টিং ডিভাইস যা কম্পিউটারে একটি গ্রাফিকাল ইন্টারফেসের সাথে এর ব্যবহারকারীকে সংযুক্ত করে বিভিন্ন নির্দেশাবলী প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের স্ক্রিনে কারসর বা পয়েন্টারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা দিয়ে থাকে, যার ফলে তারা স্ক্রিনে কোন কিছু নির্বাচন, সরাতে এবং ম্যানিপুলেট করতে সক্ষম করে।
একটি সাধারণ মাউস হাতে আরামদায়কভাবে ফিট করার উপযোগী করে তৈরী করা হয়ে থাকে। এর উপরের দিকে দুই বা এর অধিক বোতাম থাকে যা বিভিন্ন কমান্ড প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ মাউসে একটি স্ক্রোল হুইল থাকে যা কোনো পেজ স্ক্রোল করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মাউসকে একটি সমতল পৃষ্ঠে বা মাউস প্যাডে ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটারে বিভিন্ন নির্দেশাবলী দেয়া হয়।
কারসর কি?
Cursor বা কার্সার হচ্ছে একটি ভিজ্যুয়াল ইন্ডিকেটর যা স্ক্রিনের মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারীর নির্দেশাবলী কম্পিউটারে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মূলত গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসে (GUI) ব্যবহারকারীর ইনপুট এবং নেভিগেশনকে নির্দেশনা প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণত এটি একটি তীর একটি ব্লিঙ্কিং খাড়া রেখা, বা চলমান কার্যক্রম তথা প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন আকার ধারণ করে থাকে।
যেমন বিভিন্ন ধরণের লিংক এর জন্য এটি একটি হ্যান্ড আইকন ধারণ করে থাকে। মাউস বা ট্র্যাকপ্যাড অথবা কীবোর্ডের মতো ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কার্সারের অবস্থান নিয়ন্ত্রিত করা হয়। এটি ব্যবহারকারীদেরকে পিসি তথা ডিজিটাল সিস্টেমের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে কমান্ড প্রদান করা কোন কিছু হাইলাইট বা সিলেক্ট করা-কে কার্যকর করতে সক্ষম করে।
ইনপুট ডিভাইস কি?
Input Device (ইনপুট ডিভাইস) হলো যেকোনো হার্ডওয়্যার উপাদান যা আপনাকে কম্পিউটার বা অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ডেটা বা কমান্ড অথবা কোন নির্দেশনা প্রবেশ করাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে কিবোর্ড, মাউস, ট্র্যাকপ্যাড, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, টাচস্ক্রিন ইত্যাদি। এই ডিভাইসগুলির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে নানা ধরণের সংকেত, ডেটা বা নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। যা পরে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এবং অন্যান্য উপাদান দ্বারা প্রদানকৃত তথ্য ও উপাত্তকে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করার জন্য প্রক্রিয়া করণ করা হয়। কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলির সাথে একজন ব্যবহারকারীর ইন্টারঅ্যাক্ট এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনপুট ডিভাইসগুলি অত্যন্ত অপরিহার্য।
কম্পিউটারের উইন্ডো কি?
উইন্ডো বলতে একটি গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস উপাদান যা একটি কম্পিউটার স্ক্রিনে কোনো অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রামের বিষয়বস্তু প্রদর্শন করাকে বুঝায়। একটি উইন্ডোতে সাধারণত সবার উপরে একটি টাইটেল বার থাকে, যাতে চলমান অ্যাপ্লিকেশন বা নথির নাম থাকে এবং অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ন্ত্রণ করার কিছু বাটন থাকে। এতে একজন ব্যবহারকারীকে উইন্ডোটিকে ছোট, বড় বা বন্ধ করার অপশন থাকে। উইন্ডোর বিষয়বস্তুতে কোনো টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা আকর্ষণীয় কিছু থাকতে পারে। যা অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে সংযুক্ত থাকে।
একটি উইন্ডোর আকার পরিবর্তন করা যেতে পারে, স্ক্রিনের যে কোনো স্থানে সরানো যেতে পারে এবং অন্যান্য উইন্ডোগুলির উপরে বা নিচের দিকে নেয়া যেতে পারে। যা একজন ব্যবহারকারীকে একই সাথে একাধিক কাজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
ফোল্ডার কি?
ফোল্ডার হল একটি ধারক বা ডিরেক্টরি যা একটি কম্পিউটারে নানা ধরণের ফাইল সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। ফোল্ডার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে ভার্চুয়াল অবস্থানে যেখানে ব্যবহারকারীর ফাইলগুলি সংরক্ষণ এবং অ্যাক্সেস করার সুবিধা দিয়ে থাকে। ফোল্ডার যেকোনো ফাইলকে একত্রে রাখতে এবং সেখানে থাকা ফাইলগুলি হতে অনুসন্ধান এবং পরিচালনা করা সহজ করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ফোল্ডারগুলিতে এক বা একাধিক ফাইল থাকতে পারে এবং সেগুলির ভেতরে আবারও ফোল্ডার অর্থাৎ সাবফোল্ডারও থাকতে পারে।
ফোল্ডার ফাইলের মতোই তৈরি করা, নাম পরিবর্তন, সরানো, কপি করা এবং মুছে ফেলা যায়। এগুলি কম্পিউটারের ফাইল ম্যানেজার বা ফাইল এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেও অ্যাক্সেস করা যায়।
আইকন কি?
আইকন হল একটি ছোট গ্রাফিক্যাল প্রতীক বা চিত্র। যা একটি বিশেষ বস্তু, ফাংশন বা ধারণাকে উপস্থাপন করে। আইকন সাধারণত কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে সহজেই বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন কম্পিউটার ডেস্কটপ, মোবাইল ডিভাইস এবং ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যবহারকারীদের সহজেই নেভিগেট করতে এবং সিস্টেমের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণ এবং সহজে চেনা যায় এমনভাবে ডিজাইন করা হয়ে থাকে।
Icon এর উদাহরণ হলো একটি ফাইল মুছে ফেলার জন্য একটি ট্র্যাশ ক্যান আইকন, অনুসন্ধানের জন্য একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস আইকন, মূল মেনু বা হোমপেজে ফিরে যাওয়ার জন্য হোম আইকন ইত্যাদি।
ফাইল কি?
কম্পিউটারে ব্যবহৃত একটি ফাইল হলো তথ্যের একটি বান্ডেল যা কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিজিটাল স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হয়। একেক টি ফাইলে একেক ধরণের তথ্য থাকতে পারে, যেমন টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও বা প্রোগ্রাম কোড ইত্যাদি। প্রতিটি ফাইলের ধরণ অনুযায়ী এদের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। যেমন অডিও ফাইল, টেক্সট ফাইল, অ্যাপ্লিকেশন ফাইল ইত্যাদি।
জিপ ফাইল কি?
জিপ (Zip) ফাইল হলো একটি কম্প্রেস করা ফাইল সিস্টেম যা কোনো একটি ফাইল বা একাধিক ফাইল বা একাধিক ফোল্ডারসমূহ একত্রে কম্প্রেস করে সংরক্ষণ অথবা স্থানান্তর করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি ইন্টারনেটে দ্রুত ফাইল স্থানান্তর করতে বা স্টোরেজ বাঁচাতে অথবা একাধিক ফাইল/ফোল্ডারকে একটি প্যাকেজে পরিণত করার একটি জনপ্রিয় উপায়।
যখন কোনো ফাইলকে জিপ ফাইল করা হয় তখন ফাইল বা ফোল্ডারের তথ্যগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। আবার যখন সংকুচিত ফাইলটি স্থানান্তর বা সংরক্ষণ করার পর তা পুনরায় আনকম্প্রেস করা হয় তখন সে ফাইল/ফোল্ডারগুলির আসল আকারে প্রকাশ পায়।
জিপ ফাইলগুলি বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম জুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন WinZip, 7-Zip, বা অনেক অপারেটিং সিস্টেমে ডিফল্টভাবে জিপ করা বা আন জিপ করার জন্য কিছু কিছু কম্প্রেশন টুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ডায়লগ বক্স কি?
ডায়ালগ বক্স হল একটি ছোট উইন্ডো যা স্ক্রীন বা উইন্ডোর উপরে চলমান কোনো প্রোগ্রামের বিশেষ তথ্য প্রদর্শন করতে, সেই সাথে ব্যবহারকারী হতে নির্দেশনা পেতে বেশ কিছু অপশনসহ প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
সাধারণত ডায়ালগ বক্সগুলি ফাইল খোলা বা সংরক্ষণ, সেটিংস কনফিগার করা, কোনো নির্দেশনা নিশ্চিত করা বা বাতিল করা এবং ত্রুটি বার্তা বা সতর্কতা প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাধারণত, ডায়ালগ বক্সগুলিতে ব্যবহারকারী হতে নির্দেশিত কিছু ডেটা প্রবেশ করানোর জন্য বা এ সম্পর্কে বিকল্প কিছু নির্বাচন করার জন্য এক বা একাধিক ক্ষেত্র এবং সেইসাথে প্রদর্শিত তথ্য ঠিক আছে অথবা বাতিল বা এপ্লাই বা এ বিষয়ে কোন সাহায্যের প্রয়োজন কিনা এ রকমের বাটন অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ডায়লগ বক্স ট্যাব কি?
ডায়ালগ বক্স ট্যাব হল একটি ডায়ালগ বক্সের অভ্যন্তরে সেটিংসসমূহের মধ্যে মাউসের সাহায্যে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী প্রদানের একাধিক সেকশন সমৃদ্ধ মাধ্যম। ডায়ালগ বক্স ট্যাবগুলি সাধারণত সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলিতে সম্পর্কিত বিভিন্ন অপশনগুলিকে একত্রিত করতে এবং ব্যবহারকারীকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেটিংস এবং ইচ্ছেমতো অপশনগুলির বিকল্প ব্যবহার করার জন্য একটি কাঠামোগত এবং সু-সজ্জিতভাবে উপস্থাপন করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
একজন ব্যবহারকারী যখন একটি ডায়ালগ বক্স ট্যাবে ক্লিক করেন, তখন ডায়ালগ বক্সের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে সেই ট্যাবের সাথে যুক্ত অন্যান্য অপশনসমূহ এবং সেটিংস প্রদর্শন করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ডায়ালগ বক্স ট্যাবের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রামে “Page Setup” ডায়লগ বক্সে “Margins”, “Paper” এবং “Layout” ট্যাব।
ড্রপ-ডাউন মেনু কি?
ড্রপ-ডাউন মেনু হলো কোনো প্রোগ্রামের এমন একটি ইন্টারফেস যেখানে ক্লিক বা ট্যাপ করার সময় বিকল্প কমান্ডের একটি তালিকা প্রদর্শন করে থাকে।
একটি ড্রপ-ডাউন মেনু সাধারণত একটি টেক্সট বক্স এর পাশে একটি ছোট, নিচের দিকে তীর চিহ্ন হিসাবে প্রদর্শিত হয়। যখন এতে ক্লিক করা হয় বা ট্যাপ করা হয়, তখন একটি মেনু বা বিকল্প অপশনগুলির তালিকা বাটন হতে নিচের দিকে নেমে আসে। এতে ব্যবহারকারী একটি বিকল্প অপশন নির্বাচন করার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এবং ক্ষেত্র বিশেষের উপর নির্ভর করে ড্রপ-ডাউন মেনু তালিকা স্থির বা গতিশীল হতে পারে। ড্রপ-ডাউন মেনু সাধারণত প্রোগ্রামের স্ক্রীনের স্থান সংকুলানের কাজে ব্যবহৃত হয়।
পাসওয়ার্ড কি?
পাসওয়ার্ড হল একটি গোপনীয় সংখ্যা বা শব্দ। এটি হতে পারে কোনো সংখ্যা, অক্ষর, বিশেষ চিহ্ন ইত্যাদির সংমিশ্রণ। পাসওয়ার্ড একজন ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করার জন্য প্রমানস্বরূপ একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং ডিজিটাল কোন কিছু সুরক্ষিত রাখার একটি বিশেষ সিস্টেম। পাসওয়ার্ড বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন, অনলাইন অ্যাকাউন্ট, কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইস অ্যাক্সেস, নেটওয়ার্ক এবং ওয়াই-ফাই, অ্যাপ্লিকেশন বা সফ্টওয়্যার ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত বা একান্ত কোনো ফাইলে অবাঞ্চিত অ্যাক্সেস রোধ করার জন্য পাসওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি অ্যাকাউন্ট বা সিস্টেমের জন্য শক্তিশালী, ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, নিয়মিত সে সকল পাসওয়ার্ড আপডেট করা এবং সহজেই অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন ইনস্টলেশন কি?
Online Installation বলতে ইন্টারনেট থেকে সরাসরি কম্পিউটার বা ডিভাইসে সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার প্রক্রিয়া বোঝায়। সিডি বা ডিভিডির মতো হার্ডওয়্যার ব্যবহার করার পরিবর্তে, ”অনলাইন ইনস্টলেশন” পদ্ধতি একজন ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টলেশন ফাইলগুলি অ্যাক্সেস করে সফ্টওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
অনলাইন ইনস্টলেশনে একজন ব্যবহারকারী সফ্টওয়্যার তৈরীকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হতে একটি ছোট ইনস্টলেশন ফাইল ডাউনলোড করে থাকেন। যা ইনস্টল হবার সময়ে উক্ত সফ্টওয়্যারটির প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান বা নির্দেশাবলী অনুযায়ী অনলাইন রিসোর্স হতে তা ডাউনলোড করে নিতে থাকে।
উপাদানসমূহ ডাউনলোড হওয়ার পরে ব্যবহারকারীর নির্দেশনা/কাস্টম নির্দেশনা পাবার জন্য একটি ইনস্টলেশন উইজার্ড বা অনুরূপ ইন্টারফেস চালু করে। সেটআপ উইজার্ড ব্যবহারকারীকে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাইড করে যে, প্রয়োজনীয় কোন কনফিগারেশন বা সেটিংসের আলোকে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শেষ করবে। সব শেষে উক্ত সফ্টওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত মর্মে বার্তা প্রদর্শন করে থাকে।
অনলাইন ইনস্টলেশন বেশ কিছু কারণে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে একজন ব্যবহারকারীর ফিজিক্যাল মিডিয়া বা ফিজিক্যাল স্টোরেজ প্রয়োজন ছাড়াই দ্রুত সফ্টওয়্যার পেতে এবং ইনস্টল করার সুবিধা থাকে। অপরদিকে অনলাইন ইনস্টলেশন প্রায়শই সফ্টওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ সরবরাহ করে থাকে। কারণ প্রায় সকল ধরণের আপডেট অনলাইনেই প্রকাশিত হয়। যা ব্যবহারকারীদের সর্বাধিক আপ-টু-ডেট সুবিধা এবং সুরক্ষা প্যাচ নিশ্চিত করে।
তবে অনলাইন ইনস্টলেশনের সময় ম্যালওয়্যার বা অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকির ঝুঁকি কমাতে বিশ্বস্ত উৎস থেকে সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট সতর্ক হওয়া উচিত এবং সফ্টওয়্যার প্রদানকারীর সত্যতা যাচাই করা উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে তারা সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকেই তা ডাউনলোড করছে।
অফলাইন ইনস্টলেশন কি?
Offline Installation বলতে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কোনও সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার প্রক্রিয়া বোঝায়। এটি ইন্টারনেট ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত ইনস্টলেশন যোগ্য ফাইল যেমন সিডি বা ডিভিডি, ইউএসবি ড্রাইভ, বা কম্পিউটার বা ডিভাইসে স্থানীয়ভাবে সংরক্ষিত ডাউনলোড করা ফাইল ইনস্টলেশন করা বুঝায়।
”অফলাইন ইনস্টলেশন” এমন পরিস্থিতিতে দরকারী যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। এতে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত কোনও ফাইল ডাউনলোড করার প্রয়োজন ছাড়াই কোনও সফ্টওয়্যার ইনস্টল সুবিধা পাওয়া যায়।
আশা করছি এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি কম্পিউটার ও উইন্ডোজ বিষয়ক বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।