ইন্টারনেট ব্যবহারে কেন সতর্ক থাকা প্রয়োজন

ইন্টারনেট ব্যবহারে কেন সতর্ক থাকা প্রয়োজন?

ইন্টারনেট ব্যবহারে এখন প্রায় সকলেই অভ্যস্ত। আধুনিক এই যুগে ইন্টারনেট শব্দটির সাথে আমরা কম-বেশী সকলেই পরিচিত। বিশেষ করে প্রায় সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকার পাশাপাশি ক্ষতির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।

এ পর্বে আমরা জানতে চেষ্টা করবো ইন্টারনেট ব্যবহারে কেন আমাদের সতর্ক থাকা উচিত?

What is Internet? ইন্টারনেট কি?

ওয়েব ব্রাউজার সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে ইন্টারনেট জিনিসটা কি? ইন্টারনেট হলো একাধিক কম্পিউটার এবং সার্ভারের একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন যোগাযোগ প্রযুক্তি যেমন ক্যাবল, স্যাটেলাইট এবং ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। এটি মুলত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পেতে, তা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে, অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং বিভিন্ন পরিষেবা যেমন ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নানা ধরণের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

ইন্টারনেট অনেক লোকের জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা তাদের কাজ করতে, শিখতে, কেনাকাটা করতে, নিজেদের বিনোদন করতে এবং বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে অন্যদের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম করে। ইন্টারনেট পাঠ্য-ভিত্তিক নিবন্ধ থেকে ভিডিও এবং চিত্রের মতো মাল্টিমিডিয়া বিষয়বস্তু পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে তথ্য এবং সংস্থান সরবরাহ করে আসছে। 

ইন্টারনেটের সুবিধা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতার সাথে সাথে বিভিন্ন অসাধু মানুষজন ম্যালওয়্যার, ফিশিং এবং পরিচয় চুরির মতো সাইবার হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় নিরাপদ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত উচিত। সামগ্রিকভাবে ইন্টারনেট হল একটি শক্তিশালী এবং রূপান্তরকারী হাতিয়ার যা আমাদের জীবনযাপন, কাজ এবং আমাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। 

ওয়েব বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা কি?

ইন্টারনেট ব্রাউজিং হলো একটি ওয়েব ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট, ওয়েব পেজ এবং অন্যান্য অনলাইন সামগ্রী অ্যাক্সেস তথা তথ্য-উপাত্ত পাবার কাজকে বোঝায়। একটি ওয়েব ব্রাউজার হচ্ছে একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীদের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর তথ্য দেখতে এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করতে দেয়। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তথ্য অনুসন্ধান করতে, খবর পড়তে, ভিডিও দেখতে, অনলাইনে কেনাকাটা করতে, এক ওয়েব সাইট হতে অন্য ওয়েব সাইটে গমন, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং অন্যান্য আরো নানা ধরণের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং অনেক মানুষের জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যা তথ্য-প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে বিপুল পরিমাণ তথ্য এবং সংস্থানগুলিতে সহজে অ্যাক্সেস প্রদান করে।

Internet ব্যবহারে কেন সতর্ক থাকা প্রয়োজন?

আধুনিক এই যুগে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। এর সাহায্যে আমরা অনেক কিছু শিখতে,  প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রাখতে এবং মুহুর্তে বিভিন্ন তথ্য পৃথিবীর এক প্রাপ্ত হতে অপরপ্রান্তে ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ প্রদান করে। এই ইন্টারনেট ব্যবহার শুধু সুবিধা প্রদান করে থাকে তা কিন্তু নয়। এর ক্ষতিকর কিছু দিকও রয়েছে।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে আমরা যখন আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহণ করতে থাকি তখন এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ পেতে থাকে বা তাদের সৃষ্ট বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত, আর্থিক, পারিবারিক ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্যাদি হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করে থাকে।

এ সকল দুষ্ট লোকেরা আমাদের মূল্যবান তথ্য চুরি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ফিশিং স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার এবং আকর্ষণীয় তথ্যাদির সাহায্যে তৈরী ওয়েবসাইটে ফাঁদ পেতে রাখে। ফলে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। 

আবার ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে প্রকৃত তথ্যকে বিকৃত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভ্রান্ত করতে পারে, কখনও কখনও যা অত্যন্ত গুরুতর পরিণতি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি সাইবার বুলিং, অবাস্তব তুলনা অনেক ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করতে পারে। 

তাই নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্যাদি শেয়ার করার ক্ষেত্রে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version