একজন মুসলমানের জন্য রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরকতময় এ মাসে একে অপরের আত্মশুদ্ধির জন্য এখানে থাকা রমজান নিয়ে স্ট্যাটাসগুলি একে অপরকে পাঠিয়ে আমরা আমাদের ইমান দৃঢ় করে নিতে পারি।
এখানে রমজান নিয়ে স্ট্যাটাসগুলির মধ্যে থাকছে পবিত্র কুরআন, হাদিস এবং মুসলিম বরেণ্য ব্যক্তিদের বিখ্যাতসব উক্তি বা স্ট্যাটাস।

কুরআন হতে রমজান নিয়ে স্ট্যাটাস
”হে ইমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে,
যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর।
যেমন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।”
-বাকারাহ/১৮৩
হাদিস গ্রন্থ হতে রমজান নিয়ে স্ট্যাটাস
রসূল ﷺ বলেছেন, ”ঐ ব্যক্তির নাক ধূলায় ধুসরিত হোক,
যার কাছে রমাযান মাস এসে চলে গেল অথচ,
তার পাপগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারল না।”
তিরমিযী: ৩৫৪৫
রাসুল সাঃ বলেছেন,
আমাদের ও কিতাবীদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হলো,
সাহরী খাওয়া।
– মুসলিম/১০৯৬
রাসুল সাঃ বলেছেন,
ইমানদার ব্যক্তির জন্য
খেজুর দিয়ে সাহরী খাওয়া
কতোই না উত্তম।
-আবু দাউদ/২৩৪৫
সিয়াম রেখে যে ব্যক্তি নোংরা কথা ও
তার উপর আমল ত্যাগ করতে পারল না,
সে ব্যক্তির পানাহার ত্যাগ করার মাঝে
আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
-বুখারী/৬০৫৭
রমজান মাস আসলে
জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
জাহান্নোমের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং
শাইত্বনগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।
-মুসলিম/২৩৮৫
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
ইফতারের সময় রোজাদারের
দুয়া কবুল হয়।
-তিরমিযী/৭৬৬
রাসুল সাঃ বলেছেন,
“যখন কেউ রোজা রাখে, তখন সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং ঝগড়া না করে।
কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে বা মারতে আসে, তবে সে যেন বলে, আমি রোজাদার”
-বুখারী/১৯০৪
রাসুল সাঃ বলেছেন,
তোমরা সাহরী খাও,
কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে।
-বুখারী/১৯২৩

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি কোনও রোজাদারকে ইফতার করাবে
সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে,
তবে রোজাদারের সওয়াব কমবে না।
-তিরমিজি/৮০৭
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“সাহরী বরকতময় খাবার।
এটি ত্যাগ করো না, যদিও তা এক ঢোক পানি হয়।”
-ইবনে মাজহা/১৬৯৩
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে এক দিনও সিয়াম পালন করে,
আল্লাহ তার মুখমন্ডলকে জাহান্নামের আগুন হতে
সত্তর বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন।”
-বুখারী/২৮৪০
রাসূল সাঃ বলেন,
রমজান মাস শুরু হলেই
রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয়।
“সিয়াম হলো জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল স্বরূপ”
-ইবনে মাজহা/১৬৩৯
“লোকেরা যতদিন শীঘ্রই ইফতার করবে,
ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।”
-বুখারী/১৯৫৭
আমাদের সুন্দর জীবন নিয়ে স্ট্যাটাসগুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
রোজার স্ট্যাটাস
হে আল্লাহ,
এবারের রমাদানকে জীবনের
সেরা রমাদান বানিয়ে দিন,
ঈমানের স্বাদ উপভোগ করার তাওফিক দিন।
ইয়া রাব্বুল আলা-মিন
রমাদানের পরিপূর্ণ হক আদায় করার
তাওফিক দান করুন..
আহলান সাহলান
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
রমাদান মুবারাক

খোশ আমদেদ মাহে রামাদ্বান
আল্লাহ তাআলার আমাদের
রামাদ্বানের পুরোপুরি
রাহমাহ ও বারাকাহ দান করুন।
ধৈর্য ধরতে হবে সেভাবে,
যেভাবে রোজা রাখি এবং জানি যে,
মগরিবের আযান হবেই।
রোজায় অনেকে এক ফোটা পানি গিলতে ভয় পায়
কিন্তু অন্যের হক গিলে ফেলায়
কোন ভয় পায় না।

অনেকটা সময় ধরে রোজা রাখি আমরা।
এটা আমাদের ক্ষমতা নয়,
এটি আল্লাহ তায়ালার রহমত।
গত রমজান থেকে এই রমজানের আগে
কত মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।
সেখানে আমি আপনি বেঁচে আছি, সাহরি খাচ্ছি,
ভাববার বিষয় নয় কি!
রমজানে কারও পরিবর্তন দেখে
ঠাট্টা করবেন না।
যত ছোটই পরিবর্তন হোক না কেন,
রমজান আসেই মানুষকে পরিবর্তন করার জন্য।
জীবনটাকে রমাদান বানিয়ে নিন,
মৃত্যুটা ঈদে পরিনত হবে।
-আরিফ আজাদ
রোজার একটি অন্যতম ফজিলত হলো,
রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয়।