মুসলিমদের জন্য দোয়া হচ্ছে ইবাদাতের মগজ। আমরা এখানে থাকা ছোট ছোট দোয়াগুলি সহজেই একে অপরের সাথে শেয়ার করে একে অপরের ইমানি শক্তি বৃদ্ধি করতে পারি। আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করার জন্য এখানে রয়েছে অসংখ্য ইসলামিক দোয়া স্ট্যাটাস।
Table of Contents
কুরআন হতে দোয়ার আয়াত
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা,
ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ’
অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর,
আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।
-সূরা বাকারা/২০১
“রব্বানা লা তুযিগ ক্বুলূবানা বা’দা ইয হাদাইতানা
ওয়া হাব লানা মিন লাদুনকা রহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব”
অর্থ: হে আমাদের প্রভূ! আমাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর পর,
আপনি আমাদের অন্তর গুলোকে বক্র করবেন না। আর আপনি আমাদেরকে
আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বাধিক দাতা।
-আল ইমরান/ ৮

“রব্বি আউযু বিকা মিন হামাযাতিশ শায়াত্বীন,
ওয়া আউযু বিকা রব্বি আইয়াহ দুরুন।”
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমি আপনার কাছে
শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় চাই এবং
আশ্রয় চাই আমি আপনার কাছে শয়তান আমার নিকট
উপস্থিত হওয়া থেকে।
-আল মু’মিনূন/৯৭
“আকাশের দিকে তোমার বার বার তাকানোকে
আমি অবশ্যই লক্ষ্য করি।”
-বাকারাহ/১৪৪
আমাদের ইসলামিক স্ট্যাটাস সমগ্র দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
হাদিস গ্রন্থ হতে ইসলামিক দোয়া স্ট্যাটাস
রাসুল সাঃ বলেছেন
“বান্দা যখন দুয়ার জন্য হাত উঠায়
তখন সে হাত খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জা পান”।
আবু দাউদ/৩৩৭০
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসুল সাঃ বলতেন,
হে আল্লাহ, নিশ্চই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই
দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা,
কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে
বিখ্যাত মনীষিদের করা ইসলামিক দোয়ার ক্যাপশন
আল্লাহ তাআলার নিকট মাথা নত করুন,
তিনি আর কারও নিকট আপনার মাথা নত করাবেন না,
ইংশাআল্লাহ।
ইয়া আল্লাহ,
আমি ছাড়াও দুনিয়াতে তোমার বান্দার
অভাব নেই।
কিন্তু তুমি ছাড়া আমার কোনই রব নেই।
আমার রব যদি আমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেন,
নিঃসন্দেহে তার বিচার অতি সুক্ষ্ম।
আর যদি জান্নাতে দেন,
তবে সেটা তার দয়া।
বিশ্বাস করুন, আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা করছেন।
কারণ তিনি জানেন আপনার জন্য কোনটি উত্তম।
তার ওপর আস্থা রাখুন, আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন
তিনি কি করে আপনাকে ভুলে যাবেন।

দুয়া কখনও বিফলে যায় না।
আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন উপায়ে তা কবুল করে নেন।
যেখানে আমার রব ইবলিশের দোয়া পর্যন্ত ফিরিয়ে দেন নাই,
সেখানে তুমি হতাশ কেন?
তুমি তো আল্লাহর প্রিয় নবীর উম্মত।
ইয়া আল্লাহ অতিরিক্ত কোন কিছুই চাই না,
যতটুকু হলে জীবনা সুন্দর হয়,
আমাকে ততটুকু দান করুন।
-আমিন
রিজিক আর সম্মান কারও হাতে নেই।
আল্লাহ যাকে চান, তাকে এই দুটি
নেয়ামত দান করেন।
নিয়ত যদি নেক হয় আর লক্ষ্য যদি সঠিক
তবে সাফল্য আসবেই।
মানুষ ফিরিয়ে দেয় কিন্তু আল্লাহ তাআলা নয়।
আল্লাহ হয় দেন, নয়তো পরকালের জন্য রেখে দেন।
কিন্তু তিনি যেটা দেন, উত্তমটাই দেন।
বান্দার চোখের পানি নাক পর্যন্ত
গড়িয়ে আসার আগেই
আল্লাহ তার দুয়া কবুল করে নেন।
কপালে কি আছে জানি না,
তবে আল্লাহর উপর অসীম বিশ্বাস আছে,
তিনি কোনও একদিন আমাকেও শ্রেষ্ঠ কিছু দান করবেন।
কার ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়
আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
তাই, ধৈর্য্য ধরুন, সফলতা একদিন আসবেই।
কষ্ট আপনাকে দুয়া করতে বাধ্য করে
আর দুয়া আপনাকে শক্তিশালী করে তোলে।
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিক”
অর্থ- হে আল্লাহ, আপনি আমার ভাগ্যকে খুলে দিন।
ইয়া আল্লাহ,
আপনি আমার মনের সব আর্তনাদ দূর করে দিন।
আমাকে গায়েবিভাবে সাহায্য করুন।
আমার জীবন সহজ-সরল করে দিন।
ইয়া রব,
আমাকে সেই লোকদের হাত থেকে রক্ষা করুন,
যারা আমার মুখের সামনে হাসে,
কিন্তু পিছনে আমার বদনাম করে।
বান্দা যখন তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে তওবা করে,
তখন আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেন।
ইয়া রব,
আপনি আমাকে যা রিজিক দিয়েছেন,
তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট বানিয়ে দিন।
তাতে বরকত দান করুন এবং আমি যা কিছু হারিয়েছি
তার তুলনায় অধিক উত্তম কিছু দান করুন।
হে আমার মালিক,
আমি আপনার কাছে শারীরিক সুস্থ্যতা,
হালাল রিজিক, নিরাপদ বাসস্থান,
নেককার জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান এবং
ইমানের সাথে মৃত্যু কামনা করছি।
হে আল্লাহ, অতিরিক্ত কিছুই চাই না,
যতটুকু হলে আমার জীবনটা সুন্দর হবে,
আমাকে ততটুকু দান করুন।
ভুলে যাবেন না,
আপনার একজন রব রয়েছেন।
তিনি আপনার নীরব কান্নার সঙ্গী।